পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

২০২৪ এর জাতীয় কংগ্রেস ২০০৯ সালের কংগ্রেসের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত, সাধারণ মানুষের অনেক বেশি কাছের। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রত্যক্ষ করেছেন গরিব খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রনা। তারই প্রকাশ ঘটেছে কংগ্রেসের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে। ওদিকে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের নাম ‘মোদির গ্যারান্টি’। মূলত সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে ভিত্তি করে বি জে পি- র এবারের সংকল্প পত্র। ১৪ টি বিষয়ে তারা জোর দিয়েছে। একটি তূলনামূলক বিশ্লেষণ রাখলেন দেবাশিস মিথিয়া।

Read more


বিকশিত ভারত: কর্পোরেট ঋণখেলাপীদের স্বর্গ রাজ্য,সেই জন্যেই একদিকে আমরা দেখতে পাই, বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের সাহায্যে, সেই ঋণ খেলাপীদের সাহায্য করেছে আর অন্যদিকে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করেছে। 'না খাউঙ্গা,না খানে দুঙ্গা' শ্লোগান তুলে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন। এই ঋণ খেলাপীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০১৬ সালে "Insolvency and Banking proceeding for corporates and individuals " সংশোধনী পাশ করেন।কিন্তু সেই আইনের মধ্যেই কর্পোরেট তোষণের গল্পটা লুকিয়ে ছিল।

Read more


সব কা সাথ,সব কা বিকাশ' তখনই সম্ভব যখন গরীব মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। এ কথা বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় বারংবার প্রমাণিত যে এ মুহূর্তে গ্রাম ভারতে গরীব মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ' মহাত্মা গান্ধী ন্যাশানাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট' (MNREGA)। নরেন্দ্র মোদি একদা এই প্রকল্পকে ' গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প ' বলে উপহাস করেছেন কিন্তু অতিমারী পর্বে গ্রাম ভারতকে একটা মাত্রা পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিল এই প্রকল্প।

Read more


সারা বিশ্বে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আদানিকে স্টেট ব্যাঙ্ক লোন দিয়ে কি বাঁচিয়ে রাখছে? কি হবে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলো বা আমানতকারীদের ভবিষ্যৎ ?

Read more


ডি এ নিয়ে নানান তর্ক চলছে, কেউ বলছেন ডি এ অধিকার, কেউ বা বলছেন এটি অনুদান। সরকারী কর্মচারীরা এই ডি এ এবং অন্যান্য দাবী নিয়ে ধর্মঘটেও সামিল হয়েছিলেন। সেই সমস্ত কথা এবং বিতর্ককে বোঝার চেষ্টা।

Read more


পুঁজিবাদ, সংখ্যা ও প্রতিরোধ ---- আসলে বর্তমান পুঁজিবাদের এক অন্যতম দিকই হল বা লাইফ লাইনই হল ডেটা ইকনমিক্স। সেই কবেই মহমতী লেনিন তাঁর সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায় গ্রন্থে দেখিয়েছিলেন কী ভাবে পণ্য উৎপাদন নির্ভর পুঁজিবাদ সরছিল মূলতই পরিষেবা নির্ভরতার দিকে- সেই শিফট আজ হয়তো মেইন কোর্স হয়ে উঠেছে।

Read more


মনে রাখা দরকার আজ অবধি বোফর্সের দুর্নীতির কিনারা হয়নি, কিন্তু সেই শ্লোগান, “গলি গলি মে শোর হায় রাজীব গান্ধি চোর হায়” তাতে ভুল প্রমাণিত হয়নি। আজও তেমনি আদানি মোদি আঁতাত ও আদানির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওঠা শ্লোগান কোনোভাবেই ভুল বলে গণ্য হবে না কারণ আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার মূল্যে যে কারচুপি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে নিয়ে এসেছে তা সমস্ত আইন, হিসাবশাস্ত্র ও শেয়ার বাজারের মাপকাঠিতে সর্বৈব সঠিক।

Read more


ভারতের ক্ষেত্রে বেশীরভাগ মানুষেরই স্বাস্থ্য বীমা নেই, যাঁদের আছে, তা অপর্যাপ্ত, কিন্তু তাও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, আয়কর ছাড়ের সুবিধা পেতেই বহু মানুষ স্বাস্থ্য বীমা করান। সামাজিক সুরক্ষা না থাকার ফলে, একজন আয়করদাতার নিজস্ব দায়িত্বও হয়ে দাঁড়ায় এই বিষয়গুলো। সুতরাং সরকারের কখনোই কি এই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প, বা, গৃহ নির্মাণের ঋণের সুদে ছাড় বা স্বাস্থ্য বীমাতে আয়কার ছাড়ের সুযোগ থেকে নাগরিকদের বঞ্চিত করা উচিৎ ? আসলে বিতর্কটা শুধু পাঁচ লক্ষ থেকে সাত লক্ষের আয়কর ছাড় নিয়ে নয়, বিতর্কটা সরকার আদৌ চাইছে কি, তাঁর দেশের আয়করদাতারা ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছু সঞ্চয় করুক?

Read more


শেয়ার বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া ব্যবসায়িক জগতে একটি স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু শেয়ারের বাজার মূল্য বহু ক্ষেত্রেই সেগুলির অন্তর্নিহিত মূল্যের থেকে অনেক বেশি হতে পারে। যেহেতু আদানিগোষ্ঠির কোম্পানিগুলির শেয়ারের মূল্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে সেগুলির অন্তর্নিহিত সম্পদ অনেক বেশি দেখানো হয়েছে তাই যেসব ব্যাঙ্ক আদানিগোষ্ঠিকে শেয়ার বন্ধক রেখে ঋণ দিয়েছে তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। স্টেট ব্যাঙ্ক আদানি গোষ্ঠিকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে বলে শোনা। অন্যদিকে এলআইসি আদানিগোষ্ঠির শেয়ারে বিপুল টাকা লগ্নি করেছে এমনকি বর্তমানে চলতে থাকা শেয়ার বিক্রিতেও যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করতে চলেছে, যদিও গত কয়েকদিনে আদানি গোষ্ঠির শেয়ারে যে ধ্বস নেমেছে তাতে এলআইসি প্রায় ১৮-১৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ফলে আদানির ব্যবসায়িক কারচুপির যে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে এসেছে তা সত্যি হলে স্টেট ব্যাঙ্ক, এলআইসির মত প্রতিষ্ঠানগুলি ও তাদের আমানতকারী সাধারণ মানুষের ক্ষতির ঝুঁকি প্রভূত ।

Read more


ভারতের মত দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয় কর্মসংস্থান। প্রতিবছর তাই কর্মসংস্থানের প্রশ্নে ভারতীয় রাজনীতিবিদরা একের পর এক প্রতিশ্রুতি দেন যা কখনো বাস্তবায়িত হয় না।২০১৪ পরবর্তী সময়ে এই প্রতিশ্রুতির পরিমাণ যেমন বেড়েছে ( প্রতিবছর ২-৩ কোটি) তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেকারি।একথা ইতিপূর্বে বহু আলোচিত যে নরেন্দ্র মোদির আমলে বিগত পঁয়তাল্লিশ বছরের যাবতীয় রেকর্ডকে ভেঙে দিয়ে বেকারি শিখর ছুঁয়েছে। সেই আচ্ছে দিনের গল্প, সেই আচ্ছে দিনের শবযাত্রার কাহিনী থাকলো।

Read more


আমাদের দেশেও প্রুধোঁর সেই কল্যাণকামী খুচরো কর্মসূচিগুলিই বর্তমানে কোথাও টিএমসি, কোথাও আপ, কোথাও অন্য কেউ (এমনকি বিজেপিও) টুকটাক চালু করে চলেছে। এই সমস্ত কর্মসূচির সুবিধা হল, মানুষ এতে সহজেই আকৃষ্ট হয় এবং ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথ থেকে শুধু সরে আসে তাই নয়, লড়াইকে অপ্রয়োজনীয় মনে করতে থাকে। সমাজ বিপ্লবের সম্ভাবনা কমে যায়।

Read more


শ্রীলঙ্কার রোগগুলি ভারতের শরীরেও বাসা বেঁধেছে। সারের দাম উর্ধ্বমুখী। নিত্য ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র যে সাধারণের আওতার মধ্য একথাও আর বুক ঠুকে বলা যাচ্ছে না। আর ভাবনার কথা হল – আমরা জানি আমাদের খাদ্য উৎপাদন, জীবন যাপনকে প্রকৃতি বান্ধব করে তুলতেই হবে – আর কোন রাস্তা নেই। তার জন্য সার্বিকভাবে সঠিক পরিকল্পনা করে এখুনি বদল প্রয়োজন। চোখ বন্ধ রেখে প্রাকৃতিক চাষের সমালোচনা করলে তো আর প্রলয় থেকে দূরে থাকা যাবে না!

Read more


পুঁজিবাদ এগোনোর পথে মাঝেমাঝেই ঝাঁকি দিয়েছে, প্রযুক্তির ধাক্কায়। সেই জেমস ওয়াটের স্টিম এঞ্জিন আবিস্কার থেকে,আজকের কম্পুটার, স্মার্টফোন এসবই এক একটি ডিসরাপটিভ বা ওলোটপালোটের প্রযুক্তি। এগুলি এসে মানুষের প্রচলিত ধারণাকে ভেঙেচুরে দিয়েছে। মানুষ তা গ্রহণ করতে নারাজ হলেও শেষমেষ মানতে বাধ্য হয়েছে। বিটকয়েন বা ক্রিপটোকারেন্সি তেমনই এক ভয়াবহ চমৎকার ডিসরাপটিভ প্রযুক্তি। যা মুদ্রা ও অর্থব্যবস্থার উপরে রাষ্ট্র তথা বিপুল শক্তিশালী ব্যাঙ্ক গোষ্ঠিপতিদের নিয়ন্ত্রণ খর্ব, এমনকি লুপ্ত করতে পারে। অনেকেই মনে করেন, মুদ্রা বা টাকার পিছনে রাষ্ট্রের বরাভয় না থাকলে তা চলতে পারে না। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে হয়, ঈশ্বর যেমন মানুষের সৃষ্টি তেমনি মুদ্রা বা টাকাও মানুষের সৃষ্টি, লেনদেনের বা বিনিময়ের জন্য। রাষ্ট্র সেই মানুষের সৃষ্ট মুদ্রাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে ও করছে, যেমন করেছে ও করছে মানুষের সৃষ্ট ‘ঈশ্বর’কে। সেই নিয়ন্ত্রণ খর্বিত হওয়ার ভ্রূণও যদি ক্রিপটোকারেন্সিতে থাকে (যা মনে হয় আছে) তাহলে ক্রিপটোকারেন্সিকে আবাহন করা দরকার।

Read more


আজ ব্যাপার বদলেছে , বাংলায় এখন চাষ এর খরচ বেশি , উৎপাদনের থেকে উদ্বৃত্ত এতটাই কম যে প্রচুর পরিমানে উৎপাদন না হলে উদ্বৃত্ত ঘরে তোলার মতো হবে না। অর্থাৎ উৎপাদনের লভ্যাংশ বিদেশি কীটনাশক, এবং সার কোম্পানির কাছে চলে যায় আর খুব বড় চাষি না হলে টিকে থাকা যাবে না , তাই যা পাঞ্জাবে বা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সম্ভব তা এখানে নয় , কারণ জমির ঊর্ধ্বসীমা আছে।

Read more


২০২০ সালের কালান্তক ভাইরাস ও লকডাউন নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছে অ্যাপনির্ভর তথাকথিত স্বাধীন পেশার পরিষেবা শ্রমিকদের। ইতিউতি চালু হওয়া মাত্র ‘ডেলিভারি পার্টনার’রা ভিড় করে আছেন রেস্টুরেন্টের সামনে, গত বছরের জুলাই মাস থেকে, কিন্তু সেই মত অর্ডার আসছে কোথায় ? কিভাবে চলছে তাঁদের? যে স্বপ্ন দেখতে গিয়ে, এই যুবক যুবতীরা এই ডেলিভারি পার্টনার হয়ে উঠেছিলেন, তাঁরা কি ভালো আছেন আজকে?

Read more


কেবল জাতীয় আয় বাড়লেই তো ‘সুনার বাঙ্গালা’ গড়া হয়ে যাবে না। সুশাসনের অন্যন্য সূচকগুলির কয়েকটিকে একটু খতিয়ে দেখা যাক। ২০১৫-১৬ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (এনএফএইচএস ৪), এখন অবধি প্রকাশিত শেষ পূর্ণাঙ্গ জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুসারে এনডিএ শাসিত বিহারে ৫৯ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছেছিল (পশ্চিমবঙ্গে ৯৪ শতাংশ, কেরালায় ৯৯ শতাংশ)। যথাযোগ্য পানীয় জল ছিল এনডিএ শাসিত ঝাড়খন্ডে ৭৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৮৫ শতাংশ, গুজরাটে ৯১ শতাংশ বাড়িতে (পশ্চিমবঙ্গে ৯৫ শতাংশ, কেরালা ৯৯ শতাংশ)।

Read more


ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের দায় থেকে অব্যাহতি নেওয়ার দরুণ নবনিযুক্ত কর্মচারিদের যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হবে তা অভাবনীয়। একটু খতিয়ে দেখা যাক। ধরা যাক কোন কর্মী কেন্দ্রিয় সরকারে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি যোগদান করেছেন গ্রুপ ডি চাকুরিতে। যোগদানের সময় তার মূল বেতন ১৮০০০ টাকা। ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নেই। অনেকে ভাবছেন কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই দলের সরকার হলে ভালো হয়, কিন্তু সত্যিই কি তাই, কেন্দ্রের ডিএ বা পেনশন আইন কি তাই বলে ?

Read more


মোট আয় ২৬, ০০০ টাকা কিন্তু গত দশ বছরে ভোগ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে প্রায় ১০০%। ফলে আগের খরচ বজায় রাখতে দরকার পড়ছে ৩৭,০০০ টাকা। সমস্ত হিসেব গুলিয়ে যাচ্ছে তাঁর। ওদিকে চিকিৎসার খরচ বেড়েই চলেছে। ওষুধের দাম বাড়ছে। নিজের ৭০ আর গিন্নির ৬৫ বছর বয়সে এটাসেটা লেগেই আছে। এতদিন পর্যন্ত টেনে টুনে চললেও আর পারা যাচ্ছে না। যখন অবসর নিয়েছিলেন, তাঁর বেতনকে কখনো কম মনে হয় নি, মনে হয়নি অবসরের পরে এমন কষ্টে পড়বেন।

Read more


শচীন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরা— সকলে মিলে আপনাকে জগতের আনন্দযজ্ঞে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আপনি যোগ দেবেন না? দেশের অর্থনীতি তলানিতে, মোট ঘরোয়া উৎপাদন ঋণাত্মক। কিন্তু ওসবে কান দেবেন না। কে বলেছে টাকার অভাব?

Read more

by প্রতীক | 07 November, 2020 | 0 Comment(s) | 1935 | Tags : Lottery online gamble dream11


আধার কি কোনও পরিচয়পত্র? যদি এই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া যায় তাহলে আধারের প্রয়োজনীয়তা কি ? তাহলে আধারের মধ্যে দিয়ে যে সরকারী অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যে। বিভিন্ন সময়ে যে বলা হয় রেশন কার্ডের সঙ্গে বা প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ করতে তাহলে তার উদ্দেশ্য কি ? তাহলে কি দুর্নীতি বন্ধ করার নামে আধার নিজেই একটা বড় দুর্নীতি।

Read more


কোভিড অতিমারির প্রথমদিকে আমাদের মত জ্ঞানী শিক্ষক বা হিসাবরক্ষকরা কোরোনাভাইরাস নিয়ে তেমন কোন আলোচনা করছিলাম না। যদিও চিন হয়ে তা ইতালি, ফ্রান্স জার্মানি, স্পেনের মত পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলিতে বা আমেরিকায় তা পৌঁছে গিয়েছিল, অনেকানেক রুগি মারাও যাচ্ছিল, তবুও আমাদের মত বিদ্বজ্জনেরা তাকে পাত্তাই দিই নি কারণ ভগবান মোদিজি তখনও নিদ্রা যাচ্ছিলেন।

Read more


এখন খুলে গেল বাজার – ক্ষমতা থাকলে দ্বিগুণ কেন যা খুশি লুটে পুটে খাও। আর হ্যাঁ, কর্পোরেট বিনিয়োগ করবেন নিশ্চয় – সেই সঙ্গে কী চাষ করবেন, কী বীজ লাগাবেন কৃষকের আর সেই সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। আরা যা বিনিয়োগ করবেন তা আপনার আমার মত উপভোক্তাদের পকেট থেকে উশুল করে নেবেন। খাবারের দাম বাড়তে থাকলে অবাক হবেন না।

Read more


কার্ল মার্কস দেখিয়েছেন কিভাবে আমেরিকার ক্রীতদাসরা উৎপাদনের রসদ ও যন্ত্র হিসেবে বুর্জোয়া শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন। আমেরিকার দক্ষিণে অ্যালাবামা, অ্যারিজোনা, লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, নিউ মেক্সিকো, টেনেসি, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া ইত্যাদি রাজ্যের বিস্তীর্ণ তুলো চাষের ক্ষেতগুলিতে আফ্রিকা থেকে আনা কালো ক্রীতদাসদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির ফলেই ইংল্যান্ডের টেক্সটাইল মিলগুলি সচল হতে পেরেছিল এবং বিশ্ববাজারের দখল নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

Read more


প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কুড়ি লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছি। কুড়ি লক্ষ কোটি! অর্থাৎ কিনা দুইয়ের পিঠে তেরোখানা শূন্য। মোদীজি তো মঙ্গলবার রাত ঠিক আট ঘটিকায় বলে দিলেন অর্থনীতি বাঁচাতে কুড়ি লক্ষ কোটির ত্রাণ দেওয়া হবে। কোথায় কীভাবে সে টাকা খরচ হবে সে কথা পরদিন বিকেলে জানালেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তা আসুন, দেখা যাক কে কীভাবে পেলাম কুড়ি লক্ষ কোটির কত অংশ।

Read more


কেবল ভ্রমনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৯ কোটি জনতার কী হইবে? ২০১৫-১৬ সালে জিডিপিতে ভ্রমণ শিল্পের অংশ ছিল ৫.২%। ২০১৭-১৮ সালে ওই শিল্পে প্রত্যক্ষ ভাবে কর্মরত ছিল ৩.৫৪ কোটি মানুষ, পরোক্ষ ভাবে কাজ করতেন ৪.৫৬ কোটি কর্মচারী, মোট ৮.১১ কোটি ভ্রমণ শিল্পে জীবিকা নির্বাহ করতেন, যা ভারতবর্ষে মোট নিয়োগের ১২.৩৮% ছিল। অনুপাত যাই হোক না কেন, গত দুবছরে সংখ্যাটা বেড়েছে বই কমে নি। ফলে কোভিড ১৯ জনিত আতঙ্ক, যা লকডাউনের ফলে ব্যাপকতা লাভ করেছে, সরাসরি প্রায় ৯ কোটি কর্মচারীর জীবন ও জীবিকাকে বিপন্ন করে তুলেছে।

Read more


কবে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরব তা বলা দুস্কর হলেও এটা বলাই যায় যে, অর্থনীতির উপরে দু:সহ আঘাত আসতে চলেছে। পুঁজির বিশ্বায়নপরবর্তিতে এত বড় ঘটনা ঘটেনি। তাই অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে তা বলা অসম্ভব।কোরোনার প্রভাব যোগান ও চা্হিদা দুদিকেই পড়বে। আগে অর্থনৈতিক মন্দা এসেছে, উৎপাদনে মন্থরতা এসেছে কিন্তু এভাবে আক্ষরিক অর্থেই উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাবাই যায় নি।

Read more


অসংগঠিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের জন্যও কোন প্রকল্পও অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন নি। যদিও সেই সংগঠনগুলি এই লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নোট বাতিলের ধাক্কা তারা সামলাতে পারেনি এখোনো। এর মধ্যেই এসেছে জিএসটির আঘাত, আর এখন কোভিড-১৯ মরার উপরে খাড়ার ঘা দিল। কিন্তু সরকার তাদের পাশে নেই।

Read more


দেশের অর্থনীতির হালচাল ভালো নয় সেটা ভক্তজন ছাড়া সকলেই বলছে। তবে অর্থনীতির নাভিশ্বাস উঠেছে এমনটা বলা যাবে না। নেহরুকে যতই গালাগাল মোদি-শাহেররা দিয়ে যাক না কেন, ওই সময়ের সরকারি নীতির ফলে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রের যে সম্পদ তৈরি হয়েছিল তার জোরেই দেশের অর্থনীতির দুরবস্থাকে সামাল দেওয়া যাচ্ছে। তবে কতদিন তা যাবে সেটাই চিন্তার বিষয়।

Read more


হোর্ডিংয়ে টিভিটে সংবাদপত্রে চাষীর আয় তিন গুণ করে দেওয়ার ঝলমলে রঙিন বিজ্ঞাপনেও ঢাকা পড়েনি ধান ও আলুর দাম না পাওয়া চাষীর আর্তনাদ। তিন পর্বের এই নিবন্ধে রাজ্য সরকারের এই দাবির যাথার্থ্য খুঁজেছেন অমিত দাশগুপ্ত।

Read more


কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত ন্যূনতম আয় যোজনা বা ‘ন্যায়’ হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের ভোট-আবহে যেন সুপবন বয়ে এনেছে। কিন্তু এত টাকা আসবে কোথা থেকে— অনেকেরই প্রশ্ন। ‘ন্যায়’ যোজনার জন্য সম্পদের উপায় আমাদের অর্থনীতির মধ্যে নিহিত আছে, বিশ্লেষণ করলেন অমিত দাশগুপ্ত।

Read more